Thursday, August 25, 2016

ফ্রি...>> উইথ ফ্রিলান্সিং... এন্ড আউট... অফ দ্যা ইনকাম বাউন্ডারি ... উইথ আউটসোরসিং ... বাংলাদেশ ... অন এয়ার । 

অবিশ্বাস্য গতিতে জাগছে বাংলাদেশ। প্রতিদিন ফোন কল, মেসেজ আর আগ্রহী জনতার ঢল আসছে... আসছে জানতে নতুন শতাব্দির চালেঞ্জ, ইনকামের সেরা সিস্টেম, স্বাধীন সত্তা নিয়ে দেশ গঠনের সুযোগ আনয়নকারী ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং, অনলাইন ইনকাম বিষয়ে ।
আগে যেখানে সপ্তাহে একজন আসত না বা কল দিত না, আর সেখানে এখন প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ জানতে চায় কিভাবে ভাল ভাবে কাজ শেখা যায়, কিভাবে বিদেশী বায়ারদের সাথে কন্টাক্ট করা যায়, কিভাবে ডলার আয় করে সেটা দেশে আনা যায়, এটা তে যে বলা হচ্ছে বিশাল ইনকাম, সেটা ঠিক কিনা... এরকম অসংখ্য প্রশ্ন। আর যত প্রশ্ন করা হচ্ছে, তত জানার পরিধি বাড়ছে, বাড়ছে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার অলি গলি প্রান্তর পর্যন্ত।
আর আমাদের উদ্যোগ দেখে বিদেশীরাও মনে হয়ে কাজ দেবার জন্য আগের চাইতে বেশী আস্থা পাচ্ছে। আমাদের বরিশাল আউটসোরসিং এর ছেলেরা গত কদিনে অনেক দারুন চমক দেখিয়েছে বায়ারদের সাথে কমুনিকেশনের ক্ষেত্রে নতুন হিসেবে। তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। আর তাদের দেখে তাদের পরের ব্যাচ আরও বেশী উৎসাহ পাচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে সাহসের সাথে নতুন আলোকিত পথে। সিরিয়াস ভাবে কাজ করলে যে কাজের কোন অভাবে নেই, গত কয়েকদিনের নতুন ছাত্রদের প্রাক্তিকাল প্রাকটিসে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই আমাদেরকে কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজ শিখতে হবে এবং করতে হবে। কোয়ালিটি কাজ করে ৪ দিনের মধ্যে কাজ আনা যায় মাত্র ২ মাস ক্লাস করে। অথচ সিরিয়াস ভাবে এবং মানসম্পন্ন কাজ না করায় বছরের পর বছরেও কোন কাজ না পেয়ে অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে। আর এজন্য দায়ী অসম্পূর্ণ শিক্ষা। কাজেই ফ্রিলান্সিং করতে হলে অবশ্যই ভাল্ভাবে কাজ শিখতে হবে। শেখার ক্ষেত্রে কম পয়সায়, সস্তা , মানহীন ট্রেনিং নিলে বা ট্রেনিং এর সময় ফাকি দিলে এই কাজ শেখার চাইতে না শেখা ভাল। কারন তাতে করে টাকা , সময় নষ্ট হবে, কিন্ত কাজ পাবে না, ফলে এই কাজ সম্পর্কে ভুল ধারনা নিয়ে এই পথ থেকে সরে যাবে। এজন্য এখন ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং, অনলাইন ইনকাম করার জন্য দরকার আত্মপ্রত্যয়, বিশ্বাস আর সততা। তাহলেই আমাদের হাতে আজ যে সুযোগ এসেছে ঘড়ে বসে অনলাইনে বিদেশের কাজ করে লক্ষ কোটি ডলার আয়ের, সেটা পরিপূর্ণতা পাবে আমাদের সকলের প্রচেষ্টায়। আর আমরাই পারব, এটা তো বহুবার পরিক্ষিত বাঙ্গালীর জিবনে। 
আলহামদুলিল্লাহ। আবারো আমাদের পূর্ব পুরুষদেড় গৌরবান্বিত অগ্রণী পথের দিশা অনুসরন করে আমরা জাগছি, যেমন ভাবে জেগেছে বরিশালের নদী, পলিমাটি বিধৌত মরমী যোদ্ধা, যারা প্রান ভরা এই ছোট্ট ভূখণ্ডটির জন্য অসিম মায়া, দয়ালু অথচ সময়ের প্রয়োজনে সেই অকুতোভয় নির্ভীক সত্যপ্রেমী দেশরক্ষী । আমরা আগ্রহী টেকনোলোজিকাল বরিশাল গড়তে, আমরা চাই আমরা বরিশালের শহীদ মিনারের মাঠে, সার্কিট হাউজের ছাদে বসে কন্ট্রোল করব আমাদের বিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক । আমরা আমাদের মুভমেন্ট এর জন্য যা যা দরকার, নিজেরাই দৃঢ় মনোবল , সততা, দেশপ্রেম, এবং পারস্পরিক সহযোগিতার দারা নিজেদের যোগ্যতাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে, আজকের আমাদের স্মার্ট, আগ্রহী, আকাশের মত বাধাহীন তরুন, যুবক বাহিনী নিয়ে আমরা মার্চ করতে পারি আগামীর উচুতম বিশ্বসিংহাসনের দিকে। এটা কোন সপ্ন না, যদি আমরা এটাকে মনেপ্রানে বাস্তবে রুপায়িত করার আকাঙ্খা রাখি। হাদিসে আছে, ইন্নামাল আমালু বিন নিয়াত... নিশ্চয়ই কাজের ফলাফল তার নিয়ত এর উপরেই নির্ভর করে। আরেক জায়গাতে আছে যে, আল্লহ তায়ালা বান্দার সাথে ঠিক সেরকমই ব্যাবহার করে থাকেন, জেরুপ ধারনা বান্দা আল্লহু সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সম্পর্কে করে থাকে। ফলে আমাদের লক্ষ পুরনে নির্ভয় হওয়া উচিত। আর সাহায্যের পারস্পরিক হাতগুলো মজবুত করে ধরে এবং অন্নের জন্য বাড়িয়ে এগিয়ে জেতে পারি বিশ্বজয়ে। যার অনেক অনেক প্রমান আছে। যেমন বিশ্ব প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় আমাদের বুয়েটের ছোট ভাইয়েরা একবার পুরো গ্লোবের মধ্যে প্রথম হয়েছে। ইন্টেল প্রসেসর এর কোর স্ত্রাকচার প্রোগ্রামার টিম লিডার বাংলাদেশের বুয়েটের ছেলে। কাজেই আমাদের নিজেদের সম্পর্কে আস্থা এবং মনোবল দৃঢ় রাখা উচিত। তাহলে ইন-শা-আল্লহ তায়ালা, আমাদের সৎ নিয়তের কারনেই আমরা জিতব আগামীর মোকাবেলায় ।

No comments:

Post a Comment