বরিশালের মাননীয় ডি, সি স্যরের সাথে বরিশালের সফল ফ্রিলান্সারদের
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
বরিশালের ইতিহাসে আমার মতে এটা একটা মাইল ফলক হয়ে
থাকবে নিঃসন্দেহে কারন অনেকে যদিও বুঝতে পারছে না, কিন্ত আগামী কয়েক বছরের
মধ্যে আউটসোরসিং, ফ্রিলান্সিং, অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে বরিশাল বিভাগ
পুরোটাকে যদি হিসেবে ধরা হয়, তাহলেও অন্তত কয়েক বিলিয়ন ডলারের আগামী
ট্রানজেকশনের সুত্রপাত হতে যাচ্ছে এই আলোচনা এবং কর্ম পরিকল্পনা। এই জরুরী
আলোচনা সভায় এরকম ফ্রিলান্সারগন উপস্থিত ছিলেন যারা মাসে ২০০০-৩০০০ ইউ, এস,
ডলার ইনকাম করছেন। আর তাদের দেখে আজকে বাকিরা বুঝতে পারছে যে এটা কোন ছোট
খাট বিষয় না। আলোচনা হয় কাজের সুনাম এবং দেশের ইমেজকে বিদেশের সাথে কাজ
করার সময়ে ভাল রাখার জন্য মানসম্মত কাজ করা এবং নিজের সাথে সাথে অন্যদেরকেও
এটার সিস্টেম বুঝানোর চেষ্টা করা, যাতে করে কোন একজন ফ্রিলান্সার শুধু একা
না বরং সে নিজে সহ তার আশেপাশের আরও বাকীরাও যেন এই সন্মানজনক কাজের
মাধ্যমে নিজে স্বনির্ভর হয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে দেশের উন্নয়নের কাজে
অংশীদার হতে পারে সে জন্য সচেতনতা তৈরি করা, এই কাজের যেসব প্রতিবন্ধকতা
আছে, সেগুলো দূর করা, ফ্রিলান্সিং কাজের সামাজিক পরিচিতি সৃষ্টি করা,
ফ্রিলান্সারদের কাজের সুবিধার্থে বিভিন্ন সময় দিনে ও রাতে চলাফেরা করার
প্রয়োজন হয়, এরকম ক্ষেত্রে দেশের অনেক সময়ের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে যেন
তাদের পরিচিতির ক্ষেত্রে কোন প্রকার সমস্যা না হয়, যারা বরিশালে ট্রেনিং
দিচ্ছে, তাদের মান পর্যালোচনা করা এবং উন্নত এবং কাজের উপযোগী বাস্তবমুখী
ট্রেনিং এর বাবস্থা করা, বিদেশী ডলার দেশে আনার ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা,
আগামী দিনের বিশাল কাজের জন্য বর্তমানদের মধ্য হতেই যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি
করা, যারা আগামীর এই বিশাল কর্মযজ্ঞ লিড দেবেন তাদের মধ্যে অন্তঃসমন্বয়
রক্ষা করা এবং সর্বসাধারণের মধ্য হতে নতুনদেরকে বিশেষ করে তরুনদেরকে এই
কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট করা ও সক্ষমতা সৃষ্টি করা, এরকম আরও অনেক কিছু।
মোটকথা বরিশালে এতদিন পর্যন্ত ফ্রিলান্সার যারা আছেন, তারা যার যার নিজেদের
প্ল্যাটফরম থেকে নিজেদের সুবিধা মত কাজ করেছেন, কিন্ত ব্যাপক আকারে এমন
কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নি, যাতে করে সাধারন মানুষ বুঝতে পারে যে, ফ্রিলান্সিং
একটা চমৎকার পেশা, যেটার মাধ্যমে শুধু বিদেশী ডলারই ইনকাম হয় না, বরং
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের একটা অনেক বড় ইমেজও তৈরি হয়।
বাংলাদেশের
ইতিহাসে বরিশালের অনেক বড় বড় মানুষের অনেক ভাল, সুন্দর ও মহৎ অবদান আছে,
যার কারনে সমগ্র জাতি তাদেরকে স্মরণ করে। তাদের সততা, নেতৃত্ব, সাহসিকতা,
দেশপ্রেম দেশের অনেক জরুরী মুহূর্তে জাতিকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছে । আর এখন
এই টেকনোলোজির শতাব্দীতে এসে বাংলাদেশ আউটসোরসিং, ফ্রিলান্সিং ক্ষেত্রে
বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে গর্বিত ভাবে বিশ্বদরবারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আর
এখানে আমাদের তরুণদের আশা যে, আমরাই আগামীর টেকনোলোজিকাল বাংলাদেশকে লিড
দিয়ে নিয়ে যাব তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষে। সরকারিভাবে এর মধ্যেই বছরে বিলিয়ন ডলার
আয়ের টার্গেট সেট করা হয়েছে এবং খুবই আশার কথা যে, বাংলাদেশের উদ্যমী
তরুনরা ইতিমধ্যেই এই আয়ের সুচকে সম্পূর্ণ পজিটিভ পজিশনে আছে, ফলে শেষ কথা
এই যে, আমরা ভাল করছি। কাজেই এখনি সময় নিজেকে বিদেশী কাজ ঠিক সেরকম ভাবেই
করে দেবার যোগ্য করে তোলা, যেভাবে কাজ আন্তর্জাতিক মানের হয়। আরও অনেক কথা
আছে, শুধু এটুকুই আসল কথা যে, এতদিনে কাঙ্ক্ষিত মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। আর
যখন দেশের কোন জরুরী মুভমেন্ট শুরু হয়, তখন বরিশাইল্লাদের অন্তরেও নিজের
প্রিয় মাতৃভূমির জন্য অনেক বেশী মুভমেন্ট শুরু হয় আর যার ভালবাসা এবং
মঙ্গলকামীতার ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাংলার আনাচে কানাচে। দেরি করার আর সুযোগ
নেই, এখনি সময় বিশ্বজয়ের। :)
...সব বরিশাইল্লা এবং সমগ্র বাংলাদেশিদেরকে বিশ্বজয়ের অগ্রিম শুভেচ্ছা ... ইন-শা-আল্লহ।
thank you.
ReplyDelete